তৎকালীন জামালপুর মহকুমায় মূলতঃ ১৯৪৮ সালের এপ্রিল মে থেকে প্রগতিশীল ছাত্র, সাহিত্য, সংস্কৃতি কর্মীদের মাঝে ভাষা চেতনার সূচনা হয়। ১৯৪৮ সালেই জামালপুর মহকুমার শেরপুর থানায় আনিছুর রহমানকে আহ্বায়ক করে “ভাষা কমিটি” নামে একটি কমিটি গঠিত হয়। ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান দিবসে শেরপুরের জিকে স্কুলে জমিদার রায় বাহাদুর সত্যেনের সভাপতিত্বে এক ছাত্র সমাবেশে স্কুল ছাত্র সৈয়দ আব্দুস সোবহান “ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায়” এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবির পক্ষে কিছু বক্তব্য তুলে ধরলে তাকেসহ কয়েকজন ছাত্রকে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। গোড়া থেকেই ভাষা আন্দোলনে স্থানীয় সাহিত্যকর্মীদের প্রত্য ভূমিকা ছিল। “প্রতিবাদী দশক” ৫০ এ সাহিত্যকর্মীদের মধ্যে গ্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল পাকিস্তানী এ দুটি ধারায় বিভক্ত ছিল। ১৯৫১ সালে ধর্মাশ্রয়ী সাহিত্য চেতনার বাইরে “প্রবাহ সাহিত্য মজলিশ” নামে স্বদেশমুখী প্রগতিশীল একটি সাহিত্য সংগঠন গড়ে উঠে। সৈয়দ ইমামুর রশীদ, সৈয়দ আব্দুস সাত্তার, িিতশ তালুকদার, অরুন তালুকদার, আব্দুর রহমান সিদ্দিক, সৈয়দ আব্দুস সোবহান, অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, রেবতীসহ প্রবাহ সাহিত্য মজলিশের সকলেই সক্রিয় ভাবে ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হায়দার আলী মল্লিককে সভাপতি ও তাছির উদ্দিন আহমেদ মোক্তারকে সেক্রেটারি করে গঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের রাজনৈতিক অবস্থান জামালপুরে শক্তিশালী ছিল। এছাড়া কমিউনিষ্ট নেতা আশুদত্ত, মনা দাশ ও চন্দন বোস সহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিষ্ট পার্টি ও কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতা-কর্মী মুসলিম লীগের ছত্রচ্ছায়ায় ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে পড়ায় ভাষা আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। ১৯৫১ সালের ফেব্র“য়ারীর শুরুতে আওয়ামী মুসলিম লীগ নেতা তৈয়ব আলী আহমেদকে সভাপতি, আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যাপক জহুরুল ইসলামকে সম্পাদক, আওয়ামী মুসলিম ছাত্রলীগের তৎকালীন মহকুমা সভাপতি আক্তারুজ্জামান মতি ও আশেক মাহমুদ কলেজের মনোনীত জিএস সৈয়দ আব্দুস সোবহানকে যুগ্ম সম্পাদক করে জামালপুর মহকুমা সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পাশাপাশি আক্তারুজ্জামান মতিকে আহ্বায়ক করে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনের সূচনা লগ্নেই জামালপুরের সাংগঠনিক অবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। তখন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীদের অলিখিত অফিস ছিল এ্যাডভোকেট মৌলবী তৈয়ব আলী আহমেদের বকুলতলার চেম্বার যন্ত্রলেখা প্রেসের পাশে। এ ছাড়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নিয়মিত বসতেন তমালতলায় কমিউনিস্ট নেতা রমনীমোহন বাবুর অয় ফার্মেসী ও তৎকালীন রতন দেবী হল (পরে বিশ্বনাথ টকিজ, এন্তেজার হল) ও হিন্দি লাইব্রেরীতে (মার্চেন্ট একাডেমী)। ১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী প্রতিবাদ দিবস, ১১ ফেব্র“য়ারী পতাকা দিবস পালিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সারাদেশে আহুত সাধারণ ধর্মঘট সফল করার ল্েয নেতারা সাইকেলে নকলা, ঝিনাইগাতি থানা সফর, স্কুল-কলেজে গণসংযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধকরণ সভার পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। ২০ ফেব্র“য়ারী দিনব্যাপী জামালপুর শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মিছিল বের হয়। ইতিমধ্যে পুলিশ ছাত্র নেতা আক্তারুজ্জামান মতি, দিদারুল আরম খুররম, সৈয়দ আব্দুস সোবহান, আলী আসাদ কালা খোকা, ফজলুল হক সাদা খোকা (পরে ওস্তাদ) সহ নেতৃত্বদানকারী ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে। হুলিয়া মাথায় নিয়েও নেতারা ছাত্রদের সংগঠিত করেন। প্রবল উত্তেজনায় পার হয় ২০ ও ২১ ফেব্র“য়ারী। ২১ ফেব্রুয়ারী সাধারণ ধর্মঘট আংশিক সফল হয় জামালপুর, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর, মেলান্দহ, শেরপুর, নকলা ও নালিতাবাড়ী থানায়। জামালপুরসহ উল্লিখিত থানাগুলোর প্রতিটি স্কুল-কলেজে পালিত হয় পূর্ণ ধর্মঘট। ছাত্ররা বেরিয়ে আসে রাস্তায়, প্রতিটি থানা সদরে ছাত্রদের মিছিলে শ্লোগান উঠে “ রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”। ২১ ফেব্রুয়ারী মেলান্দহে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ হামলা ও লাঠিচার্জ করে। পরে ছাত্র মিছিলে হামলার প্রতিবাদে সভা ও কিক্ষোভ মিছিল হয়। এখানে নেতৃত্বদেন ডাঃ মহসিন। সরিষাবাড়ীর আরডিএম পাইলট হাইস্কুলের ছাত্ররা ভাষা দাবিতে মিছিল করেন। ২১ ফেব্র“য়ারি সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে শহরে দোকান পাট, গাড়ি আংশিক বন্ধ থাকে। বিকেলে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে শহরে মিছিল হয়। মিছিলে গার্লস স্কুলের ছাত্রীরাও অংশ নেয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকায় গুলির সংবাদ জামালপুর পৌছলে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সার্বণিক অফিস হয়ে উঠে তৎকালীন রতন দেবী হলের পাশে হিন্দি লাইব্রেরী। ঢাকার পরিস্থিতি জানার পর গভীর রাত পর্যন্ত উত্তেজিত ছাত্র-জনতা সংগ্রাম পরিষদের অফিসে জমায়েত হয়। ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে জন্ম নেয় নতুন শ্লোগান “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই-নূরুল আমিনের কল্লা চাই” দোকান পাট, অফিস, স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। পুরো শহর হয়ে উঠে মিছিলের শহর। নান্দিনা, দিগপাইতসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে দলে দলে ছাত্র-জনতা কালোব্যাজ ধারণ করে শহরে আসতে থাকে। ঢাকায় গুলির প্রতিবাদে শহরে পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। ডাকঘর ছাড়া শহরের সমস্ত অফিস আদালত বন্ধ থাকে। সকাল ১১টায় বকুলতলা থেকে মিছিল নিয়ে সরকারি বিদ্যালয়ে (বর্তমানে জিলা স্কুল) যাবার পথে পুলিশ ফাঁড়ির নিকট পুলিশ অফিসার খুরশিদ জাহান ছাত্রনেতা দিদারুল আলম খুররমকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার অবস্থায় দিদারুলকে মিছিলসহ নিয়ে যাওয়া হয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এই স্কুলের ছাত্ররাও বেরিয়ে আসনে রাস্তায়, মিছিলে। ২২ ফেব্রুয়ারী সারা শহর ভাষার দাবিতে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জামালপুর শহর। মোড়ে মোড়ে হয় পথ সভা। নেতারা টিনের চোঙ্গা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। ঢাকায় ছাত্র মিছিলে গুলির প্রতিবাদে ওইদিন বিকেলে হিন্দু বোর্ডিং মাঠে (বর্তমানে হাইস্কুল) ছাত্র-জনতার বিশাল সমাবেশ হয়। এখানে তৈয়ব আলী আহমেদ, তাছির উদ্দিন মোক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এখান থেকে মিছিল সহ ছাত্র-জনতা রেল স্টেশন ময়দানে গিয়ে বিশাল জনসভায় যোগ দেন। রেলস্টেশন ময়দানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বিশাল সমাবেশে ঢাকায় গুলি, ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ করে নিহতদের পরিবারবর্গকে তিপূরণ প্রদান, মুসলিম লীগ মন্ত্রী সভা ও এমএলএ দের পদত্যাগ ও ছাত্র বন্দিদের মুক্তিসহ বাংলাকে অবিলম্বে পাকিস্ত—ানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দাবি এবং ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
২২ ফেব্রুয়ারী শুধু জামালপুর শহর নয়, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ থানায় ব্যাপক মিছিল সমাবেশ হয়। ২২ ফেব্র“য়ারি জামালপুর শহর সহ সবকটি থানায় স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে সফল হয় সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচি। সেদিন রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা আক্তারুজ্জামান মতি, আলী আসাদ কালা খোকা, ফজলুল হক সাদা খোকাসহ ৮ নেতাকে। খুররমসহ গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিন জামালপুর সাব জেলে রাখার পর ১ মাসের আটকাদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় ময়মনসিংহ জেলে। জেলে ভাষা সৈনিকদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিতেন প্রাক্তন মন্ত্রী সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমেদ। ২৩ ফেব্রুয়ারী মুসলিম ছাত্রলীগের আহ্বানে চলমান ভাষা সংগ্রামকে বেগবান করার লক্ষে স্থানীয় হিন্দি লাইব্রেরীতে স্কুল-কলেজের ছাত্র, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একসভায় ৫৫ সদস্যের মহকুমা শাখা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নতুন একটি কমিটি গঠিত হয়। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থাকা সত্ত্বেও নতুন এই কমিটি গঠন বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় ফেব্র“য়ারির প্রথম দিকে গঠিত কমিটি ছিল মুলতঃ রাজনৈতিক ও ছাত্র নেতাকর্মীদের নিয়ে। পরবর্তী সময় আন্দোলনের তীব্রতা ও ঢাকায় ছাত্র মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতিতে আন্দোলনকে আরো বেগবান করার স্বার্থে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ও সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে এই নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ৫ মার্চ দেশব্যাপী ধর্মঘট সফল করার ল্েয ২৫ ফেব্রুয়ারী জামালপুরে আহ্বান করা হয়। ছাত্র-জনতা জমায়েত। নেতারা বেরিয়ে পড়েন থানা সফরে। থানা গুলোতে ব্যাপক জনসংযোগ, সভা ও শোভাযাত্রা হয়। প্রতিটি শোভাযাত্রায় সকলে কালোব্যাজ ধারণ করতেন। ২৩ ফেব্রুয়ারী কেন্দুয়া কালিবাড়ীতে ভাষার দাবিতে জনসভা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারী সরিষাবাড়ীর পিংনা হাইস্কুল মাঠে হাতেম আলী খানের সভাপতিত্বে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতার বিরাট সমাবেশ হয়। সমাবেশে অধ্যাপক সুজায়াত আলী, সৈয়দ আব্দুস সোবহান ছাড়াও জেলা নেতারা বক্তব্য রাখেন। ঐদিন আর ডিএম হাইস্কুল প্রাঙ্গণেও এক বিরাট সভা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারী মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ সহ বিভিন্ন থানায় ছাত্র-জনসভা ও শোভাযাত্রা বের হয়। ২১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী সরিষাবাড়িতে পালিত হয় হরতাল। অন্যান্য থানায়ও ধর্মঘট পালিত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারী জামালপুর শহরে ধর্মঘট ডাকা হয়। এ ধর্মঘট সর্বাত্মক সফল হয়। ধর্মঘট থাকায় বিভিন্ন থানা থেকে ছাত্র-জনতা পায়ে হেঁটে ও সাইকেলে করে এসে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশে যোগ দেয়। ২৫ ফেব্রুয়ারী গোপালদত্তের মাঠ ও হিন্দু বোর্ডিং মাঠে বিশাল সমাবেশ হয়। সেদিন শহর হয়ে উঠে মিছিলের শহর। দিনব্যাপী শহরে খন্ড খন্ড মিছিল হয়। এ দিন স্কুল ছাত্রীরাও বেরিয়ে আসেন রাস্তায়, পিকেটিংয়ে অংশ নেন। বিুব্ধ জনতা সেদিন ডেপুটি সিভিল সার্জন অফিস, সমাজ কল্যাণ দফতর ও মহকুমা প্রশাসকের অফিস ঘেরাও করে রাখে। মহকুমা প্রশাসক হাসান কবির জনতার প্রতিরোধের মুখে সেদিন অফিসে যেতে পারেননি। কোন অফিসার কর্মচারীই সেদিন অফিসে যাননি। এদিন ছাত্ররা এমএলএ আলী আহমেদ কালা মৌলভীকে ধাওয়া করলে তিনি দৌড়ে পালান। এদিন কলেজ ও স্কুলের শিকরাও রাস্তায় নামেন। ২৭ ফেব্র“য়ারি নাট্যকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের পিতা অধ্য এ.এইচ.এস কুদ্দুসের সভাপতিত্বে জামালপুর কলেজ টিচার্স কাউন্সিলের এক সভায় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারী নান্দিনায় সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে প্রায় ৩ হাজার মানুষের সভায় ঢাকায় গুলিবর্ষনে নিন্দা ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানের দাবি জানানো হয়। ১ মার্চ দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে নাদের হোসেনের সভাপতিত্বে এক জনসভা হয়। ৩ মার্চ পর্যন্ত জামালপুর শহর ও থানা গুলোতে ভাষার দাবিতে প্রতিদিন সভা, সমাবেশ ও মিছিল হয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৩ মার্চ “কৃষ্ণ দিবস” এ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে জামালপুর সদরসহ সবকটি থানায় পূর্ণ দিবস ধর্মঘট পালিত হয়। ৫ মার্চ সিংহজানি মসজিদের সামনে তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে একটি সভা হয়। ৫ মার্চ পালিত হয় সর্বাত্মক ধর্মঘট। এছাড়াও ১১ মার্চ মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগ ও কলেজ ইউনিয়নের (ছাত্র সংসদ) উদ্যোগে স্কুল কলেজে ধর্মঘট ও মিছিল হয়। ১২ মার্চ গোপাল দত্তের মাঠে ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভা হয়।