জামালপুরে প্রথম শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপিত হয় ১৯৬৩ সালে। আশেক মাহমুদ কলেজের বড় পুকুরের উত্তর-পূর্ব কোনে ভাষা সৈনিক সুজায়াত আলী, কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এসএম সাত্তার, ছামিউল হক, ছাত্রনেতা শাহনেওয়াজ, মোখলেছুর রহমান আনসারীকে নিয়ে কয়েকটি ইট দিয়ে শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন। এ সময় তৎকালীন অবাঙ্গালী এসডিও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে কলেজের মঞ্জুরী কেটে দেয়া হবে হুমকি দেন। কিন্তু হুমকি উপো করে ছাত্ররা চাঁদা তুলে শহীদ মিনারের বেদী নির্মাণ করেন এবং ১৯৬৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে প্রভাত ফেরি করে সদ্য নির্মিত বেদীতে ফুল দেন। ১৯৬৩ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের নেতা ওয়াহেদুজ্জামানের উদ্যোগে প্রথম বেদিতে একটি স্তম্ভ স্থাপন করা হয়। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত এই শহীদ মিনারেই প্রভাতফেরি শেষে ফুল দিয়ে স্মরণ সভা করে শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়ন দয়াময়ী পাড়া শাখার উদ্যোগে ১৯৬৯ সালের ফেব্র“য়ারিতে ভাষা সৈনিক সুজায়াত আলী শহরের মাঝখানে পুনাই পার্কে তিনটি স্লাব দিয়ে শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন। এটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক ড. ফরাস উদ্দিন (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর)। ১৯৭০-এর ফেব্র“য়ারিতে পুনাই পার্কের শহীদ মিনারের সামান্য সংস্কার করা হয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর এই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনেক অনুষ্ঠান হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী কলেজ পুকুর পাড়ে শহীদ মিনারের পিলার এবং পুনাই পার্কের শহীদ মিনার ভেঙে ফেলে। ১৯৭২ সালে পুনরায় পুনাই পার্কে শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপিত হয় ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে। পরে ১৯৭৭ সালে পৌরসভা চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী চাঁন চৌধুরী আহ্বায়ক, ফয়েজুর রহমান, সুকুমার চৌধুরী, উৎপল কান্তি ধর, আলী জহির, নজরুল ইসলামসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সদস্য করে পুনাই পার্কের শহীদ মিনার সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটির তত্ত্বাবধানে পুনাই পার্কের শহীদ মিনারটি পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনারে রূপ পায়। এই শহীদ মিনারটি এখন জামালপুর শহরের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র।
সক্রিয় ভাবে (উল্লেখযোগ্য) যারা ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ঃ সৈয়দ আব্দুস সোবহান, আক্তারুজ্জামান মতি, দিদারুল আলম খুররম, সুজায়াত আলী, ফজলুল করিম মিঠু, আলী আসাদ কালা খোকা, ফজলুল হক সাদা খোকা (ওস্তাদ), জর্জিস আহমদ খান, ডাঃ সোহরাব উদ্দিন আকন্দ, সৈয়দ ইমামুর রশিদ, হায়দার আলী মল্লিক, তাছির উদ্দিন আহম্মেদ মোক্তার, গিয়াস উদ্দিন, বাদশাহ আনসারী, নিজাম উদ্দিন আহমদ, সৈয়দ আক্তারুজ্জামান, আব্দুর রহমান সিদ্দিক, মফিউদ্দৌলা, মহিউদ্দিন আহমদ, মোকলেছ, হাতেম আলী খান, ফজলুর রহমান, স্কুল ছাত্র মহিউদ্দিন, ছাত্রী জান্নাত আরা, সিংহজানী স্কুলের কাদের, কুদ্দুস ও রহমান, আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্র আব্দুল আউয়াল, আব্দুর রহমান, রেজাউল করিম, আনোয়ার, বখতিয়ার হোসেন, রাজনৈতিক নেতা দেওয়ানপাড়ার মজিবর রহমান, আনিসুজ্জামান, সাহেদ আলী মিয়া, যমুনা, সৈয়দ আলী মন্ডল, আব্দুল গফুর, স্টেশন রোডের কুদ্দুস মল্লিক, কালু মিয়া, গেদা মিয়া, জবেদ, ছনকান্দার কালু, শাহপুরের সামাদ মন্ডল, ময়েন উদ্দিন ও যুবনেতা তিীশ তালুকদার। এ ছাড়া অধ্য এ.এইচ.এমএ. কুদ্দুস, অধ্যাপক শশাংক শেখর ভট্টাচার্য, ডা. মুনির উদ্দিন আহমেদ, কফিল উদ্দিন মোক্তার, সামসুজ্জোহা মোক্তার ও অধ্যাপক নুরুল হকসহ সচেতন শিক বুদ্ধিজীবী সমাজ ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় সহযোগিতা করেন।
সক্রিয় ভাবে (উল্লেখযোগ্য) যারা ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ঃ সৈয়দ আব্দুস সোবহান, আক্তারুজ্জামান মতি, দিদারুল আলম খুররম, সুজায়াত আলী, ফজলুল করিম মিঠু, আলী আসাদ কালা খোকা, ফজলুল হক সাদা খোকা (ওস্তাদ), জর্জিস আহমদ খান, ডাঃ সোহরাব উদ্দিন আকন্দ, সৈয়দ ইমামুর রশিদ, হায়দার আলী মল্লিক, তাছির উদ্দিন আহম্মেদ মোক্তার, গিয়াস উদ্দিন, বাদশাহ আনসারী, নিজাম উদ্দিন আহমদ, সৈয়দ আক্তারুজ্জামান, আব্দুর রহমান সিদ্দিক, মফিউদ্দৌলা, মহিউদ্দিন আহমদ, মোকলেছ, হাতেম আলী খান, ফজলুর রহমান, স্কুল ছাত্র মহিউদ্দিন, ছাত্রী জান্নাত আরা, সিংহজানী স্কুলের কাদের, কুদ্দুস ও রহমান, আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্র আব্দুল আউয়াল, আব্দুর রহমান, রেজাউল করিম, আনোয়ার, বখতিয়ার হোসেন, রাজনৈতিক নেতা দেওয়ানপাড়ার মজিবর রহমান, আনিসুজ্জামান, সাহেদ আলী মিয়া, যমুনা, সৈয়দ আলী মন্ডল, আব্দুল গফুর, স্টেশন রোডের কুদ্দুস মল্লিক, কালু মিয়া, গেদা মিয়া, জবেদ, ছনকান্দার কালু, শাহপুরের সামাদ মন্ডল, ময়েন উদ্দিন ও যুবনেতা তিীশ তালুকদার। এ ছাড়া অধ্য এ.এইচ.এমএ. কুদ্দুস, অধ্যাপক শশাংক শেখর ভট্টাচার্য, ডা. মুনির উদ্দিন আহমেদ, কফিল উদ্দিন মোক্তার, সামসুজ্জোহা মোক্তার ও অধ্যাপক নুরুল হকসহ সচেতন শিক বুদ্ধিজীবী সমাজ ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় সহযোগিতা করেন।